নন্দন

প্রথম পাতা » কবিতা » নির্বাচিত কবিতা » নিঃসঙ্গ কবি, নির্জন রেস্তোরাঁ :: সৈয়দ শামসুল হক

নিঃসঙ্গ কবি, নির্জন রেস্তোরাঁ :: সৈয়দ শামসুল হক

ট্যাগ দেখে বাছুন

Al Mahmud Bangladesh Bangla Poetry Bengali Poetry Bengali Translation Cartoon Facebook Google Google Bangla Google Bangla Translation Helal Hafiz Imon Reza Imon Reza's Poetry Kaler kontho Nirmalendu Goon nondon Prothom Alo Social Networking Voice Chat wordpress আমিনী আল মাহমুদ ইমন রেজা'র কবিতা ইমন রেজা'র প্রকাশিত কবিতা ঈদুল আজহা এই বর্তমান আর বৃদ্ধের প্রত্যাশা ওয়ার্ডপ্রেস কনট্রোল প্যানেল কবিতা কালের কন্ঠ গুগুল বাংলা অনুবাদ গুগুলে বাংলা ছড়া কবিতা জনপ্রিয় কবিতা টুইটার টুকরো কবিতা তথ্য-প্রযুক্তি দিনকাল নন্দন নন্দনপর্ব নির্মলেন্দু গুণ পূর্বকথা প্রথম আলো প্রাক-কথন প্রিয় কবি প্রেমের কবিতা ফেসবুক বাংলা বাংলা অনুবাদ বাংলা কবিতা বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল বাংলা সিনেমা বিখ্যাত কবিতা বৃষ্টি বৃষ্টিকুমারী ভয়েস চ্যাট ভারত বিচিত্রা মজার কবিতা রকমারী রাজণীতি রেজিষ্টার লগ-ইন লিমেরিক লিরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা সম্পাদকীয় সাপ্তাহিক বিচিত্রা সামাজিক যোগাযোগ সূচনালিপি স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা স্যোসাল নেটওয়ার্কিং হালচাল হেলাল হাফিজ

মাথার ভেতরে লেখা। অদূরে রেস্তোরাঁ।
আষাঢ় সেজেছে খুব মেঘে মেঘে-মনে সে করাবে
বিরহ বিপন্ন দিন-রাস্তাঘাট আদ্যোপান্ত খোঁড়া।
মাটির পাহাড়গুলো কতদিনে কে জানে সরাবে!

এরই মধ্যে পথ করে নিতে হবে আজ।
অপেক্ষায় কবিতা ও কফি।
হঠাৎ বৃষ্টির শুরু, ধমকাল বাজ।
পিছলে পা পড়ে গেল কবি।

সমস্ত শরীরে কাদা। এভাবে কি যাওয়া যেতে পারে?
বিমূঢ় দাঁড়িয়ে থেকে কেটে যায় কাল।
তবুও কি প্রেম কিছু ছাড়ে?
বিরহেও রয়েছে বহাল!

যদিও পিছল পথ, জামা কাদা লেপা।
হেঁটে চলো, হেঁটে চলো, দাঁড়িয়ে থেকো না।
সময় যতই হোক বিরুদ্ধ বা খেপা-
কবিতাকে ঠেকিয়ে রেখো না।

কবিতা কি থেমে থাকবার!
দুর্গতির একশেষ, খাতা তবু শক্ত হাতে ধরা।
হাতছানি দেয় কফি, আলো রেস্তোরাঁর,
দুধের বদলে ্নৃতি, কালো কফি, শব্দের শর্করা ু


বৃষ্টিভেজা গন্ধ ছড়ায় ফুলদানিতে ফুল।
ঘটিয়ে দেয় ইন্দ্রজাল রাতের রেস্তোরাঁয়।
একলা বুকে আছড়ে পড়ে ও কার খোলা চুল।
আষাঢ় এলে পদ্মা পাগল-পেলেই ভূমি খায়!

আগুন ওঠে দপদপিয়ে, লাফাতে চায় খাড়া-
ভোলা তো খুব সহজ নয় চিরে ফেলার ধাঁচ।
অতীতও নয় গেছেন কবি নক্ষত্রের পাড়া,
সেদিন কবি জেনেছিলেন স্বর্গীয় তার আঁচ।

ফুলের সাথে চুলের গন্ধ এখন একাকার।
এখন শুধু গন্ধটুকুই-এবং অন্ধকার ু


কফির গরম গন্ধ। পেয়ালায় আঁকা দুটি ফুল
দীর্ঘ দুটি বৃন্তে তারা পরস্পর জড়িয়ে রয়েছে।
কত দীর্ঘদিন কবি রেস্তোরাঁয় এসেছে ও
একাকী সহেছে
বিরহ বিচ্ছেদ তার। আষাঢ়ের বৃষ্টিপাত হয়েছে তুমুল।

কবিতার খাতাটি পাশেই।
রেস্তোরাঁয় একা কবি চুমুকে চুমুকে
পান করে চলে কফি।
পৃথিবী বিপুল আর লেখার বিষয় তার
হতে পারে সবই।
কিন্তু আজ সেই মুখ-একটি সে মুখ ছাড়া
আর কিছু নেই।

ভোরের প্রথম আলো প্রতি ভোরে পড়ে সেই মুখে।
ফুরোয় না ভালোবাসা-কফি শেষ হয়ে যায়
চুমুকে চুমুকে


সে নেই, তবুও কবি আসে রেস্তোরাঁয়।
ধীরে কালো কফি ঢালে শাদা পেয়ালায়।
এই সে চেয়ার আর এই সে টেবিল।
জানালার পর্দা ওড়ে এখনো তো নীল।
শূন্যতার রং শাদা, মৃত্যু ঘন কালো।
যা ছিল জীবনব্যাপী-মুহূর্তে মিলাল।

এখনো টেবিলে ফুল-ছাইদান পড়ে।
কেবল সে নেই আর। ্নৃতি হয়ে ওড়ে
ছাইদানে ছাই আজ করুণ বাতাসে।
রেস্তোরাঁয় সেদিনের ফুলগন্ধ ভাসে।
স্মৃতির নদীতে নেভা আলোর বিকন।
কালির কলমে লেখা জলের লিখন

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৩, ২০০৯


লেখাটিতে মন্তব্য করুন

নন্দন ফটো গ্যালারী

নন্দন ব্যানার

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারী না হলে ইমেইল ঠিকানা লিখুন

Join 804 other subscribers

টপ রেটেট পোস্টগুলো

আজকের টপ ক্লিকস

  • কোনটাই না

নন্দন এর বিষয় সূচী

নন্দন এর পুরোনো লেখা

নন্দন কমিউনিটির কয়েকজন