শিগগিরই বাংলাদেশে অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসর বৈধতা পাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পে-পল, মানি বুকারস। অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসরকে বৈধতা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘জেনেরিক রেগুলেশন’ জারি করবে। এর ফলে এসব পেমেন্ট প্রসেসরের বাংলাদেশে আসা সহজ হবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। গত শনিবার তিনি আমাদের সময়কে বলেন, আগস্টের ৪/৫ তারিখে আমি ‘জেনেরিক রেগুলেশন’ জারি করব। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসকে (বেসিস) একটি খসড়া নির্দেশনা তৈরি করে দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, এটি হাতে পেলে জেনেরিক রেগুলেশন জারি সহজ হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পে-পল বা মানি বুকারসের ডোমেইন নেই। জেনেরিক রেগুলেশন জারি করলে ওদের ডোমেইন নিতে সুবিধা হবে।
বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান বললেন, পে-পল কঠিন নিয়ম-কানুনের জন্য এ দেশে আসতে চাইছিল না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জেনেরিক রেগুলেশন জারি করলে তাদের এ দেশে আসার পথটা সুগম হয়। বেসিস অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসর এদেশে কীভাবে কাজ করবে, কী নিয়ম থাকবে সেসবের একটা খসড়া নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেবে বলে তিনি জানান।
দেশে বর্তমানে পে-পলের মাধ্যমে টাকা আসছে তবে থার্ড পার্টি সলিউশন প্রোভাইডারদের সহায়তায়। দেশের অনেক থার্ড পার্টি প্রোভাইডার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ভারতে কৌশলে পে-পলে হিসাব খুলছে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অর্জিত অর্থ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় করে। জানা গেছে, ভার্চুয়াল ব্যাংক হিসেবে খ্যাত এসব আন্তর্জাতিক পেমেন্ট প্রসেসর বাংলাদেশে বৈধতা পেলে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে বলে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা এলেও তা রেমিটেন্স হিসেবে গণ্য হচ্ছে না। পে-পল বৈধতা পেলে এবং এ মাধ্যমে টাকা এলে তা রেমিটেন্স হিসেবে গণ্য হবে।
Wow! great news!
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সত্যিই এটা একটা দারুণ খবর..